আরগুলাস কিল-এল
রোগের লক্ষণঃ
মাছের উকুন রোগের কারণ ও লক্ষনঃ
আরগুলাস নামক বহিঃ পরজীবীর মাধ্যমে এই রোগে মাছ আক্রান্ত হয়। এই পরজীবী মাছের দেহে রক্ত চুষে ক্ষত সৃষ্টি করে। মাছের দেহ পৃষ্ঠে ও পাখনায় উকুন লেগে থাকে। শক্ত কিছু পেলে মাছ দেহ ঘষে, মাছ লাফালাফি করে ও দেহ থেকে রক্ত ক্ষরণ হয়। পরজীবী খালি চোখে দেখা যায় না। মাছ ক্লান্তহীন ভাবে সাতার কাটে এবং আক্রান্ত স্থানের চারপাশে লালচে বর্ণের হয়ে যায়।
কার্যকারিতাঃ
আরগুলাস কিল-এল মাছের উকুন, পরজীবী গঠিত রোগ, চ্যাপটা উকুন, সুজিপোকা, সুতাপোকা, হাসপোকা সহ যেকোনো পোকার বিরুদ্ধে দারুন কার্যকরী। মাছের মৃত্যুর হার হ্রাস করে। মাছের খাবারের চাহিদা বেড়ে যায়, ফলে মাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
প্রয়োগমাত্রাঃ
৪-৫ ফুট গভীরতার প্রতি ৩৫ শতাংশ পুকুরের জন্য ৮০ মিলিঃ ঔষধ পানির সাথে মিশিয়ে পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে। পানির তারতম্য ভেদে ঔষধের মাত্রা কম বেশী হবে।
বিঃ দ্রঃ উকুন পোকা বা পরজীবীর ডিম নির্মূল করার জন্য ১ম ডোজ ব্যবহারের ৭ দিনের মধ্যে ২য় ডোজ ব্যবহার করতে হবে। এই ঔষধ চিংড়ী মাছেও ব্যবহার করা যাবে এতে চিংড়ির কোন ক্ষতি হবে না।
সংরক্ষণঃ
আলো থেকে দূরে, ঠাণ্ডা ও শুষ্ক স্থানে রাখুন এবং শিশুদের নাগালের বাহিরে রাখুন।
সাবধানতাঃ যদি কোন কারনে কেউ ঔষধ খেয়ে ফেলে তাহলে তাকে বমি করান, যদি অচেতন হয়ে পরে তাহলে তাকে নিকটস্থ কোন হাসপাতালে নিন।