এস বি চিলেটেড জিংক (20 গ্রাম)

SKUচিলেটেড-জিংক
 55  50

Item is in stock
Buy Now

এটি ক্লোরোফিল গঠনে এবং গাছগুলিতে চিনির পরিবর্তে স্টারচকে রূপান্তর করতে ব্যবহৃত হয় যা শীতে কম তাপমাত্রা সহ্য করতে ফসলে সহায়তা করে। এটি কান্ড প্রসারিতকরণ এবং বৃদ্ধির নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়ী অক্সিন গঠনেও জরুরী।

চিলেটেড জিংক এর ব্যবহারে ফসলের বৃদ্ধি বাড়ে তাই ফলন অধিক হয় । চিলেটেড জিংক এর ব্যবহারে পাতার শিরার মাঝখানে হলুদ রং এর দাগ পড়া দূর করে। এর ব্যবহারে গাছের নতুন পাতা কুকড়িয়ে যাওয়া রোধ করে। এর ব্যবহারে গাছের পাতা ফ্যাকাশে ও বিবর্ণ হয়ে যাওয়া রোধ করে।
এদেশের মাটিতে জিংকের ঘাটতি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় সব ধরনের ফসলেই জিংক সার ব্যবহারের ফলে তাৎপর্যপূর্ণ সাড়া তাদের ফলন বৃদ্ধি ও বিকাশের ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয়েছে।  ভুট্টা, ধান, গম, আলু পিয়াজ, মরিচ, টমেটো, পালংশাক, মটরশুঁটি, মুগডাল, সয়াবিন, সূর্যমুখী, সরিষা জাতীয় ফসল জিংক ঘাটতিরপ্রতি অতি সংবেদনশীল। তাছাড়া লেবুজাতীয় উদ্ভিদও জিংকের প্রতি ষ্পর্শ কাতর।
জিংক সার ব্যবহারের সুফল
বাংলাদেশের জিংক ঘাটতিপূর্ণ অঞ্চলে বিভিন্ন ফসলে জিংক সার ব্যবহারের ফলে ফসলের ফলন বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। জিংক ব্যবহারের ফলে হলুদের ফলন ৪৪%,  ভুট্টার ফলন ৪৩%, মরিচ এর ফলন ৩৮%, আদার ফলন ২৮% বৃদ্ধি পেয়েছে ।  তাছাড়া জিংক সার ব্যবহারের ফলে রোপা আমন ধানের ২৪% অধিক ফলন রেকর্ড করা হয়েছে। আবার জিংক সার পাতায় স্প্রে করে গমের দানায় জিংকের ঘনত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। তদ্রƒপ ধানের দানায় জিংক এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার গবেষণালব্ধ ফলাফল পাওয়া গেছে। সম্প্রতি হেক্টরপ্রতি ৩ কেজি জিংক সার ব্যবহার করে গমের ও ধানের দানায় যথাক্রমে ৫২ পিপিএম ও ২৫ পিপিএম জিংকসমৃদ্ধ হয়েছে। এক্ষেত্রে জিংক ব্যবহারে ফলে দানায় ১০-২০% জিংক বৃদ্ধি পেয়েছে।
জিংক সার ব্যবহারের সুপারিশ
মৃত্তিকার উর্বরতা উন্নয়নে জিংক সার ব্যবহারের নিয়মাবলি যেমন : ০১) মৃত্তিকার উর্বরতার মাত্রা, ফসলের ধরন, ঋতুভেদে এদেশের মাটিতে সাধারণত ২-৫ কেজি/হেক্টর জিংক সার সুপারিশ করা হয়। ০২) কৃষি পরিবেশ অঞ্চল-১০, ১১, ১২ ও ক্ষেত্র বিশেষে ১৩ যেখানে মাটি চুন যুক্ত ঐ সব এলাকায় রবিও খরিপ উভয় মৌসুমের ফসলের জন্য জিংক সার প্রয়োগ করতে হবে। ০৩) যে সমস্ত এলাকার মাটিতে বছরে ২-৩ টি ধান চাষ করা হয় সেখানে প্রথমে জন্মানো ধান যেমন- বোরো আবাদের জন্য  সুপারিশের পূর্ণমাত্রার পরিমাণ জিংক সার প্রয়োগ করতে হবে। পরবর্তী ২য় ও তৃতীয় ধান ফসলে প্রত্যেকটির জন্য সুপারিশের অর্ধেক পরিমাণ জিংক সার প্রয়োগ বিধেয়। ০৪) ধানভিত্তিক শস্যবিন্যাসে শুধুমাত্র ধান ফসলে জিংক সার প্রয়োগ করতে হবে। পরবর্তী রবিশস্যে জিংক সার প্রয়োগ না করলেও চলবে। তবে শস্যবিন্যাসে ভুট্টা, আলু, সবজি ও মসলা জাতীয় (মরিচ, পেঁয়াজ) ফসল থাকলে ধান ফসলে পূর্ণ মাত্রায় জিংকসার ব্যবহার করার পরেও পরবর্তী ওই সমস্ত ফসলে সুপারিশ মোতাবেক পূর্ণমাত্রায় জিংক সার প্রয়োগ করা প্রয়োজন। ০৫) সুপারিশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় জিংকসার কিছু ঝুর ঝুরে মাটির সাথে মিশিয়ে ছিটিয়ে প্রয়োগ করা যায়। কর্দম প্রধান মাটিতে ব্যান্ড পদ্ধতিতেও  প্রয়োগ করা যেতে পারে। ০৬) পাতা ও সবজিজাতীয় ফসল, ফলদ বৃক্ষে জিংকসার পাতায় প্রয়োগ (ঋড়ষরধৎ ংঢ়ৎধু) করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে  প্রতিলিটার পানিতে ৩-৪ গ্রাম জিংক সালফেট হেপ্টাহাইড্রেট দ্রবীভূত করে পাতায় সিঞ্চণ করা যেতে পারে। ধান ও ভুট্টা ফসলে যদি জিংক-এর তীব্র ঘাটতি পরিলক্ষিত হয় তবে উক্ত মাত্রার জিংক সার ১৫  দিন অন্তর ২ বার সিঞ্চণ করা যেতে পরে। এ ক্ষেত্রে,  হেক্টর প্রতি ১০০-১৫০ লিটার স্প্রে  দ্রবণ প্রয়োজন হতে পারে। ০৭) ফসলের বীজ ০.১ % জিংক সালফেট হেপ্টাহাইড্রেট দ্রবণে কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে নিয়ে প্রাইমিং করে বপন করলে উত্তম ফল পাওয়া যেতে পারে।
জিংকসার প্রয়োগের সাবধানতা
মৃত্তিকা নমুনা বিশ্লেষণের ভিত্তিতে সুপারিশকৃত মাত্রা অনুযায়ী জিংক সার প্রয়োগ করতে হবে। জিংক সার ফসফেট (টিএসপি, এসএসপি ও ডিএপি) ও কম্পোস্ট সারের সাথে মিশ্রিত করা যাবে না। তাই জমিতে শেষ চাষের বেশ পূর্বে কম্পোস্ট ও ফসফেট সার এবং শেষ চাষের সময় জিংক সার প্রয়োগ করা বিধেয়। প্রখর সূর্যালোকের মধ্যে পাতায় স্প্রে না করে পড়ন্ত  বিকেলে সূর্যাস্তের পূর্বে স্প্রে করা উত্তম। জিংকসার জিংক সালফেট মনোহাইড্রেট (৩৬% জিংক ) ও জিংক সালফেট হেপ্টাহাইড্রেট (২৩% জিংক) সরকার কর্তৃক  সুপারিশকৃত। অনুমোদিত  ডিলারের কাছ থেকে জিংক সালফেট সার ক্রয় করতে হবে । কোন অবস্থাতেই ভেজাল সার ব্যবহার করা যাবে না। এক্ষেত্রে সন্দেহ দেখা দিলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে।
খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা, মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও মৃত্তিকার উর্বরতা উন্নয়নে এদেশের মাটিতে জিংকসার প্রয়োগ অনস্বীকার্য। সুপারিশকৃত মাত্রা ও প্রথা অনুযায়ী জিংকসার ব্যবহারের কার্যক্রম জোরদারকরণের মাধ্যমে এদেশের কৃষি যুগোপযোগীকরণ এখন সময়ের দাবি।
Loading reviews please wait

Submit Review

You must be logged in to submit a review

Login